মোঃ তাহেরুল ইসলাম ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমার পৌরসভায় টানা পঞ্চম বারে মতো নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর উম্মে কুলসুম বাকী জীবনটা পৌরবাসীর সান্বিদ্ধে কাটাতে চান।
বুধবার তাঁর নিজ বাসভবনে একান্ত সাক্ষাতকারে এ সংবাদদাতাকে জানান, জনগন চাইলে পৌরবাসীর সান্বিদ্ধে থেকেই বাকী জীবনটা কাটাতে চাই। ৫৭ বছর বয়সে তিনি পাঁচবার নির্বাচিত হয়ে ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছেন।এতো অল্প বয়সে টানা পাঁচবার নির্বাচিত জন প্রতিনিধি তারপরও আবার মহিলা তাঁর জন্য একটি গর্বের বিষয়।
ডোমার পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর ২০০০সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নিজেকে আত্বপ্রকাশ করেন উম্মে কুলসুম। জীবনের প্রথম নির্বাচনে তিনি ৬,৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর পর থেকে তিনি টানা পঞ্চম বারে মতো গত ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ডোমার পৌর নির্বাচনে আবারো ছয় ভোটের ব্যবধানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
ব্যাক্তি জীবনে স্বামী ও ৩ সন্তান ও তার নাতি আর তার ছেলের বউ নিয়ে সাজানো গুছানো সুখের সংসার রয়েছে তার। বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালের ১০ ডিসেম্বর। স্বামী ওছমান গনী বিশিষ্ট পাট ও তামাক ব্যবসায়ী। বড় ছেলে ওয়াজ কুরুনী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। মেজো ছেলে ইয়াসির আরাফাত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক এবং সবচেয়ে ছোট ছেলে সিয়াম হোসেন ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র।বড় ছেলের বউ মোছাঃ সেলিনা আক্তার ।
এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন তিনি। মানুষের বিপদে এগিয়ে আসা, সুখে দুখে মানুষের পাশে থাকা এবং মিষ্টিভাষী হওয়ার কারনে প্রথম নির্বাচন থেকেই তাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করে থাকেন এলাকার সাধারন মানুষ। এলাকার জনগন চাইলে তিনি বাকী জীবনটা পৌরবাসীর সান্বিদ্ধে থেকে সেবা করে কাটাতে চান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।